তালাক দিন দিন বাড়ছে নারীর পক্ষ থেকে

প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ১২০০ টি তালাকের ঘটনা ঘটেছে। এর ৭০ শতাংশ আবেদনই আসে নারীদের পক্ষ থেকে। 

আজকাল সম্পর্ক গুলো বড় বেশি নড়বড়ে। পার্টনার বাছাইয়ে কি মানুষ ভুল করছে? বাবা মারা কি তাদের সন্তানদের গাইড করতে পারছেননা? নাকি অদৃশ্য কোনো ফাঁদে পা দিচ্ছেন তরুণ তরুণী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীরা। 

সম্পর্ক তৈরীর আগে পাত্রের বড় ব্যবসা, বড় চাকরি, বিদেশে থেকে নেয়া উচ্চ ডিগ্রী বিবেচনা করার পাশাপাশি পাত্রের চরিত্র বিবেচনা করুন সবার আগে। খোঁজ খবর নিন, তার পরিবারের, তার বন্ধুদের। সে কাদের সাথে চলাফেলা করে, তাদের পারিবারিক বন্ধন কতটা মজবুত এসবের খোঁজ নিন। 

পাত্রী বাঁছাইয়ে উচ্চশিক্ষিতা, সুন্দরী, গায়ের রঙ বিবেচনায় নেয়ার সাথে তার লাইফ স্টাইলেরও খবর নিন। 

কোনো কারণে ভুল সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে মাথা গরম না করে ঠান্ডা মাথায় সম্পর্ককে শুদ্ধ করতে চেষ্টা করুন। ছাড় এক তরফা হয়না। উভয়কেই ছাড় দিতে হয়। তবে যেখানে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, বিশ্বস্ততা উঠে যায়, সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই মঙ্গল। 

আমাদের দেশে বহু সম্পর্ক ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে টিকে আছে শুধু বাচ্চাদের কারণে। এরকম টিকিয়ে রাখা সম্পর্কে মুরব্বিদের ভূমিকাই বড়।ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের বড় কষ্ট। তারা বড় হয় এক বুক কষ্ট নিয়ে। তারা যখন সংসারি হয় তখন তারাও সুখি হতে পারেনা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। 

আমার কাছে ভাঙ্গনের পেছেন আরেকটা বিষয়কে খুব বড় ফ্যাক্টর মনে হচ্ছে, সেটা হলো আমরা সম্পর্কগুলোকে গ্যারেন্টেড ধরে নিচ্ছি। মনে করছি, বিয়ে করে ফেলেছি, সন্তান হয়ে গেছে, এখন আর অতো কেয়ার-ফেয়ারের কী আছে! ফলে সম্পর্কের যত্ন নিচ্ছিনা। স্ত্রীর প্রশংসা করতে ভুলে যাচ্ছি, তার অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ভুলে যাচ্ছি, ধরে নিচ্ছি-এটা তো দায়িত্ব তাদের, এজন্য এপ্রিশিয়েট করার কী আছে! এই যে গেরান্টেড ধরে নেয়া-এটাই সম্পর্কের বাঁধন আলগা করে দিচ্ছে। 

উল্টোও ঘটছে, অনেকে হাসবেন্ডের প্রতি গ্রেটিটিউড দেখাচ্ছেননা। তার অনেক ইচ্ছার মূল্যায়ন হয়ত হচ্ছেনা। তাদেরকেও গেরান্টেড ধরে নিচ্ছেন স্ত্রীরা। 

সেল্ফ রেসপেক্ট খুব বড় জিনিস। ইগো আর সেল্ফ রেসপেক্ট এক জিনিস না। এর মাঝে একটা ফাইন লাইন আছে। ওই লাইনটা যারা বুঝতে পারেন, তারা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে জানেন। তারা পার্টনারকে সম্মান দিতে জানেন। 

লেট্স লাভ এন্ড রেসপেক্ট আওয়ার পার্টনার!

মন্তব্যসমূহ